Friday 9 September 2022

ইসলামের দৃষ্টিতে যৌন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শক্তি বৃদ্ধিকারী কিছু খাবার সম্পর্কে জেনে নিন??




ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। মানুষের এমন কোনো
সমস্যা বা এমন কোনো দিক ও বিষয় নেই ইসলাম যে ব্যাপারে
সমাধান বা পথ-নির্দেশনা প্রদান করেনি। একজন পুরুষ এবং
একজন নারীর বৈধ সম্পর্ক-বিবাহের মাধ্যেম একটি পবিত্র
সংসার রচিত হয়। একটি দাম্পত্য জীবনের সূচনা এবং যাপন নিশ্চত
হয়। একটি সংসার বা একটি দাম্পত্য জীবনের নানান মৌলিক উপাদান-
বিষয়ের মাঝে স্বামী-স্ত্রী যৌন জীবন অতি গুরুত্বপূর্ণ
একটি বিষয়। একজন স্বামী বা একজন স্ত্রী দাম্পত্য
জীবনের এই যৌন আয়োজনে সুখি না হলে কোনো
ভাবেই সুখি হয় না তাদের দাম্পত্য জীবন। যদিও একটি বিবাহ বা
একটি সংসার-দাম্পত্য জীবনের মূল উদ্দেশ্য যৌনতা নয় তবুও
মৌলিক এই উপাদানের অভাবে অনেক সময়ই ভেঙ্গে যায়
অনেক সংসার। অথচ যৌন শক্তিকেন্দ্রিক এই অভাব-অক্ষমতা
কিন্তু চিরস্থায়ী কোনো সমস্যা নয়। অনেক পুরুষ বা নারী
নিজের অশুভ কর্মফলের কারণে এমন সমস্যায় ভোগেন
আবার অনেকে এমন অভাব-অক্ষমতার শিকার হন বিভিন্ন
পারিপার্শিক কারণে। কারণ যাই হোক সমস্যার সমাধান রয়েছে
এবং ইসলাম এই প্রকারের সমস্যার সমাধানে বেশ গুরুত্ব প্রদান
করেছে।
আল্লাহ মহানের সৃষ্টি অপার। মানুষের খাদ্য-পানীয় হিসেবে
অসংখ্য-অগণিত নেয়ামত সৃষ্টি করেছেন তিনি। আমরা মানুষ এই
সব খাদ্য-পানীয়কেন্দ্রিক নেয়ামত ছাড়া একেবারেই অচল।
আল্লাহ মহান প্রদত্ত এই নেয়ামতের মাঝে এমন কিছু খাদ্য-
পানীয় রয়েছে যেগুলো খাওয়ার দ্বারা মানুষের যৌন শক্তি
কেন্দ্রিক বিভিন্ন অভাব-অক্ষমতা দূরীভূত হয় এবং যৌন শক্তি
বৃদ্ধি লাভ করে। উল্লেখ্য যৌন শক্তি বৃদ্ধি করণ এই
প্রক্রিয়াকে দাম্পত্য জীবনের সুখময়তা বৃদ্ধি এবং বৈবাহিক
জীবনের নানান সমস্যা-অভাব-অক্ষমতাকে দূর করার পাথেয়
হিসেবে গ্রহণ করাটাই একজন মুসলমানের ইমানি-নৈতিক দায়িত্ব।
হযরত আলী (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল (সা.) -এর কাছে
এসে অভিযোগ করল যে, আমার ঘরে সন্তানাদি হয় না। একথা
শুনে রাসূল (সা.) তাকে ব্যবস্থা দিলেন যে, তুমি ডিম খেতে
থাকো।
তিরমিযি শরিফ ও অন্যান্য হাদিস গ্রন্থে উম্মে মুনযির (রা.)
থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার তিনি নবি কারিম (সা.) -এর
সামনে কিছু খেজুর ও বিট লবন পেশ করেন। রাসূল (সা.)
উপস্থিত হযরত আলীকে (রা.) খেজুর খেতে নিষেধ
করলেন আর বিট লবন সম্পর্কে বললেন যে, এটা
থেকে খাও। এটা তোমার জন্য উপকারী। হাদিস বিশারদগণ
লিখেছেন যে, হযরত আলি (রা.) -এর তখন চোখে ব্যাথা
ছিলো আর চোখে ব্যাথা অবস্থায় খেজুর খাওয়া ক্ষতিকর।
এ কারণে রাসূল (সা.) হযরত আলীকে (রা.) খেজুর খেতে
বারন করেন। আর বিট লবন সম্পর্কে বলেছেন এটা খাও,
এটা তোমার জন্য উপকারী এবং তোমার অক্ষমতা দূর করে
দেবে। হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, খাদ্যে সাবধানতা অবলম্বন
করে চলা সুন্নাত। আর এটাও বুঝা গেল যে, বিট লবন
খেলে দুর্বলতা দূর হয় এবং রতি শক্তিতে স্পন্দন সৃষ্টি হয়।
[তিব্বে নববি]
ইমাম গাজালি (রহ.) তার রচিত এহইয়াউল উলুম গ্রন্থে লিখেছেন
যে, চারটি বস্তু মানুষের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে। ১। চড়ই পাখি। ২।
ত্রিফলা (হরিতকী, আমলকী ও বহেড়া)। ৩। পেস্তা। ৪। তাজা
শাক-সবজি।
জেনে নিন কিছু যৌন শক্তি বৃদ্ধিকারী খাদ্য। হাকিম আবু নাঈম
কিতাবুত তীব গ্রন্থে লিখেছেন, মাখনের সাথে খেজুর
মিলিয়ে খাওয়া রাসূল (সা.)এর কাছে খুবই প্রিয় ছিল। আলেমগণ
লিখেছেন, মাখনের সাথে খেজুর মিলিয়ে খেলে
যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়, শরীরে গঠন বাড়ে ও কন্ঠস্বর পরিস্কার
হয়। মাখন ও মধু একত্রে মিশ্রণ করে খেলে (Pleurisy) তথা
বক্ষাবরক ঝিল্লি প্রদাহ রোগের উপকার হয় এবং শরীর
মোটা করে। [তিব্বে নববি]
আবু নাঈম ইবনে আবদুল্লাহ জাফর কর্তৃক বর্ণিত আছে যে,
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সীনার গোশত অন্য সব
গোশত থেকে উত্তম হয়ে থাকে। হাদিস বিশারদগণ
লিখেছেন যে, এর রহস্য হলো, এই গোশতে যৌন শক্তি
বৃদ্ধি পায়। [তিব্বে নববি]
কোনো কোনো বর্ণনায় আছে যে, হযরত আয়েশা (রা.)
কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, রাসূল (সা.) হাসীস খুব পছন্দ
করতেন। “হাসীস” তিনটি উপাদানে তৈরী হয়। খেজুর, মাখন
ও জমাট দধি। এ খাদ্য দ্বারা শরীর শক্তিশালী হয় এবং রতি শক্তি
বাড়ে। যায়তুন তেল খাওয়া ও মালিশ করা। তিল ও খেজুর
একত্রে ব্যবহার করা। কালোজিরা এবং লুবিয়াও যৌন শক্তি বর্ধক।
কালোজিরা এবং রসুনও যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে।
হযরত হুযায়ল বিন হাকাম বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন,
দেহের লোম তাড়াতাড়ি দূর করলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়।
[তিব্বে নববি] ডাক্তারদের মতে এই হাদিসে বর্নিত লোম
দ্বারা নাভির নীচের অবস্থিত লোমকে বোঝানো
হয়েছে।
সেক্স পাওয়ার বাড়ায় যে খাবারগুলো
সাধারণত খাবারে ভিটামিন এবং মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক থাকলে
শরীরে এন্ড্রোক্রাইন সিস্টেম সক্রিয় থাকে। আর তা
শরীরে এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরনের তৈরি
হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এস্ট্রোজেন এবং
টেস্টোস্টেরন সেক্সের ইচ্ছা এবং পারফরমেন্সের
জন্য জরুরি।
তাই সেক্স পাওয়ার বা যৌন শক্তি শুধুমাত্র প্রাকৃতিকভাবেই
পাওয়া সম্ভব। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, আধুনিক
চিকিৎসা বিজ্ঞান স্বাস্থ্যসম্মত সেক্স বাড়ানোর উপায় আজ
পযর্ন্ত বের করতে পারেনি। তাই আজকাল অনলাইনে,
পথে-ঘাটে, হাট-বাজারে সেক্স বাড়ানোর যে গল্প বা ঔষধ
পাওয়া যায় তা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না। রতিশক্তি বাড়ানোর
অনেক ঔষধ বা টাকা কামানোর অসদুপায় আছে; যেগুলো
অস্থায়ীভাবে সেক্স বাড়ায় সত্যি কিন্তু তা শরীরের জন্য
তো বটেই, যৌন জীবনের জন্য তা আরও বেশি
ক্ষতিকর। এসব খেয়ে অস্থায়ী সেক্স পাওয়ার পাওয়া
গেলেও তা স্থায়ীভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করে। তবে
এতো ভেজালের মাঝেও নির্ভরতার কথা হচ্ছে যে,
প্রাকৃতিক উপায়ে বা স্বাভাবিক নিয়মে সেক্স পাওয়ারের উন্নতি
ঘটানো
সম্ভব।
আসুন জেনে নিই এমন কয়েকটি দৈনন্দিন খাদ্য সম্পর্কে যা
শরীরে সেক্স পাওয়ার বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ।
খেজুর
রাসূল (সঃ) প্রতিদিন সকালে নাস্তা হিসেবে খেজুর খেতেন।
খেজুর যৌন শক্তি ও সুস্বাস্থ্যর টনিক হিসেবে কাজ
করে। তাই নাস্তা হিসেবে প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস
গড়ে তুলুন।
মাখনের সাথে খেজুর মিলিয়ে খেলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়,
সেই সাথে শরীরের গঠন বাড়ে ও কন্ঠস্বর পরিস্কার হয়।
রাসূল (সঃ) এঁর প্রিয় খাবার ছিল এটি। খেজুর চুষলে পিপাসা দমন
হয়। তাজা খেজুর না পাওয়া গেলে শুস্ক খেজুরই যথেষ্ট।
খেজুরের চেয়ে আর কোন উত্তম জিনিস থাকলে
আল্লাহ তা’আলা মরিয়াম (আঃ) কে ঈসা (আঃ) এর জন্মের পর
তাই খাওয়াতেন। কুরআনে কারীমের সূরা মরিয়ামে আল্লাহ
তা’আলা হযরত মরইয়ম (আঃ) কে নির্দেশ দিয়েছেন যে,
খেজুরের ডাল ধরে নাড়া দাও, তুমি তরতাজা সুপক্ক খেজুর
পেয়ে যাবে।
এতে প্রমাণিত হয় যে, প্রসূতির জন্য খেজুরের চেয়ে
উত্তম খাবার দ্বিতীয়টি আর নেই।
হাকীমগন লিখেছেন, খেজুর খেলে নেফাসের রক্ত
দ্বারা দেহের ভিতরের আবর্জনা বের হয়ে যায় -তা অধিক
পরিমানে নির্গত হয় এবং স্ত্রীর স্বভাবে উত্তাপ সৃষ্টি হয় ও
দৈনিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। খেজুর দেহের শিরা কোমল করে
এবং প্রসব ও শিরায় খিচুনির ফলে “আকটান পেইন” নামক যে
ব্যাথা সৃষ্টি হয় তা দূর করে।
মধু
মধু এবং দুধ হাজারো রকম ফুল ও দানার নির্যাস। দুনিয়ার সকল
ডাক্তার একত্র হয়ে এমন নির্যাস প্রস্তুত করতে চাইলে
কখনোও তা পারবে না।
মাখন ও মধু একত্রে মিশ্রণ করে খেলে Pleurisy তথা
বক্ষাবরক ঝিল্লি প্রদাহ রোগের উপকার হয় এবং শরীর
মোটা করে।
রাসূল (সঃ) এঁর নিকট মধু খুব বেশী প্রিয় ছিল।
কারণ, আল্লাহ তা’আলা বলেন, এর মধ্যে মানব জাতির রোগ
নিরাময় রয়েছে।
হাকীমগণ মধুর অসংখ্য উপকারিতা লিপিবদ্ধ করেছেন। খাঁটি
মধুতে সেক্স পাওয়ারের সকল উপাদান বিদ্যমান। এছাড়াও
সকালে খালি পেটে জিহ্বা দ্বারা মধু চেটে খেলে কফ দূর
হয়, পাকস্থলী পরিস্কার হয়, দেহের অতিরিক্ত দূষিত পদার্থ
বের হয়, গ্রন্থ খুলে দেয়, পাকস্থলী স্বাভাবিক হয়ে যায়,
মস্তিস্ক শক্তি লাভ করে, স্বাভাবিক তাপে শক্তি আসে, রতি
শক্তি বৃদ্ধি হয়, মূত্রথলির পাথর দূর করে, প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়,
গ্যাস নির্গত হয় ও ক্ষুধা বাড়ায়। প্যারালাইসিসের জন্যও মধু
উপকারী।
কলিজা
যৌন জীবনে খাদ্য হিসেবে কলিজার গুরুত্ব অপরিসীম।
কারণ, কলিজায় প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। আর এই জিঙ্ক
শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ায়।
যথেষ্ট পরিমাণ জিঙ্ক শরীরে না থাকলে পিটুইটারি গ্রন্থি
থেকে হরমোন নিঃসৃত হয় না। পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে যে
হরমোন নিঃসৃত হয় তা টেস্টোস্টেরন তৈরি হওয়াতে সাহায্য
করে। তাছাড়া জিঙ্ক এর কারণে আরোমেটেস এনজাইম
নিঃসৃত হয়। এই এনজাইমটি অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরোনকে
এস্ট্রোজেনে পরিণত হতে সাহায্য করে।
এস্ট্রোজেনও যৌনতার জন্য প্রয়োজনীয় একটি
হরমোন।
গরুর গোশত
কলিজার মত গরুর গোশতেও প্রচুর জিঙ্ক থাকে। তাই আপনি
যৌন জীবনকে আরো আনন্দময় করতে কম ফ্যাটযুক্ত
গরুর গোশত খান। যেমন গরুর কাঁধের গোশতে, রানের
গোশতে কম ফ্যাট থাকে এবং জিঙ্ক বেশি থাকে। এইসব
জায়গার গোশতে প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।
রসুন
রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, হে লোক সকল! তোমরা রসুন
খাও এবং তদ্দারা চিকিৎসা করাও। কারণ, এতে রোগ নিরাময় হয়।
_জামউল জাওয়ামে
ডাক্তারদের মতেও রসুনে অনেক উপকারিতা রয়েছে।
রসুন ফোড়া ভালো করে, ঋতুস্রাব চালু করে, পেশাব
জারী/স্বাভাবিক করে, পাকস্থলী থেকে গ্যাস নির্গত
করে, নিস্তেজ লোকদের মধ্যে যৌন ক্ষমতা সৃষ্টি করে,
বীর্য বৃদ্ধি করে, গরম স্বভাব লোকদের বীর্য গাঢ়
করে, পাকস্থলী ও গ্রন্থর ব্যাথার উপকার সাধন, এ্যাজমা এবং
কাঁপুনি রোগেও উপকার সাধন করে। তবে গর্ভবতী
মহিলাদের জন্য অধিক রসুন ব্যাবহার ক্ষতিকর। এই রসুনকে
আবে হায়াত বলেও আখ্যা দেয়া হয়।
তবে রাসূল (সঃ) কাঁচা রসুন খেয়ে মসজিদে যেতে নিষেধ
করেছেন।
বিভিন্ন বীজ
কুমড়োর বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, শিম বীজ, ইত্যাদিতে
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট
আছে এবং এগুলো শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল
তৈরী করে। সেক্স হরমোন গুলো ঠিক মতো কাজ করার
জন্য এই কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
শিমের বীচিতে প্রচুর ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে। এটা
আপনার যৌন ইচ্ছা এবং যৌন সামর্থ্য বাড়ায়। জাপানিরা যৌন ইচ্ছা
বাড়ানোর জন্য খাবারে প্রচুর শিমের বীচি ব্যবহার করে
থাকে। ওটমিল এবং কুমড়ার বীচির মত সূর্যমুখীর বীজ
হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে আপনার যৌন
আকাঙ্ক্ষাও বাড়ে। সূর্যমূখীর বীজে যে তেল থাকে তা
এই কাজটি করে। কুমড়ার বীচি জিঙ্ক-এর অন্যতম সেরা
প্রাকৃতিক উৎস। এই জিঙ্ক টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা
বাড়ায়। আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে কুমড়ার বীচির কার্যকারিতা
অনেক।
ডিম
ডিম যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৫ ও বি-৬ আছে যা শরীরের
হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে
সাহায্য করে। প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম
রাখুন। এতে আপনার শরীর শক্তি পাবে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি
পাবে।
দুধ
রাসূল (সঃ) এর কাছে পানীয় দ্রব্যের মধ্যে দুধ সবচেয়ে
বেশী প্রিয় ছিল।
আলেমগন লিখেন, এর রহস্য হলো এই যে, দুধ রতিশক্তি
সৃষ্টি করে দেহের শুস্কতা দূর করে এবং দ্রুত হজম হয়ে
খাদ্যের স্থলাভিষিক্ত হয়ে যায়; বীর্য তৈরি করে, চেহারা
লালচে হয়, দেহের অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ বের
করে দেয় এবং মস্তিস্ক শক্তিশালী করে।
বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এ ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য
সেক্স পাওয়ারের উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর,
মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে
চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি
হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট
জাতীয় খাবারের দরকার। তবে এই ফ্যাট হতে হবে
প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক বা তৈলাক্ত মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা
সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সামুদ্রিক মাছে
প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি
এসিড DHA O EPA শরীরে ডোপামিন বাড়িয়ে দেয় এবং
মস্তিষ্কে উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে। তৈলাক্ত ও সামুদ্রিক
মাছ খেলে শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং গ্রোথ
হরমোনের নিঃসরন হয়। ফলে যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং
যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ঝিনুক
যৌনজীবন আনন্দময় করে তুলতে ঝিনুক খাদ্য হিসেবে
খুবই কার্যকরী। ঝিনুকে খুব বেশি পরিমাণে জিঙ্ক থাকে।
জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং লিবিডো বা যৌন-ইচ্ছা বাড়ায়।
ঝিনুক কাঁচা বা রান্না, যে অবস্থাতেই খাওয়া হোক না কেন,
ঝিনুক যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
রঙিন ফল
সেক্স পাওয়ার ঠিক রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন
ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কলা, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল
যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। ইউনিভার্সিটি অফ
টেক্সাসের মেডিকেল টিমের গবেষণা অনুযায়ী, একজন
পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন
সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। আবার
টেক্সাসের A&M ইউনিভার্সিটির মতে, তরমুজ শরীরে যৌন
উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে। তারা যৌন উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্রার সাথে
তরমুজের তুলনা করেছেন।
জয়ফল
ভারতীয় গবেষকদের মতে, জয়ফল থেকে এক ধরনের
কামোদ্দীপক যৌগ নিঃসৃত হয়। সাধারণভাবে এই যৌগটি স্নায়ুর
কোষ উদ্দীপিত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে যৌন
ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। আপনি কফির সাথে মিশিয়ে জয়ফল খেতে
পারেন, তাহলে দুইটির কাজ একত্রে পাওয়া সম্ভব।
টাটকা শাক সবজি
তরতাজা ও ফরমালিনমুক্ত শাক সবজিতে প্রচুর পরিমানে
প্রয়োজনীয় অনেক ভিটামিন পাওয়া যায়। পালং শাকে আছে
প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম শরীরে রক্ত
চলাচল বৃদ্ধি করে। জাপানের গবেষকদের মতে, শরীরে
রক্ত চলাচল বাড়লে যৌন উদ্দীপনাও বাড়ে। পালং শাক ও
অন্যান্য বিভিন্ন রকম শাক, ব্রকলি, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি
এগুলোতে রয়েছে ফলেট, ভিটামিন বি সহ অন্যান্য
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। মোটকথা হচ্ছে যে, তাজা শাক সবজি
সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু শুধু শর্করার ভালো বিকল্পই না, মিষ্টি আলু খুব
ভালো ধরনের একটি ‘সেক্স’ ফুড। শরীর কোনো
সবজিতে বিটা-ক্যারোটিন পেলে তা ভিটামিন-এ তে রূপান্তরিত
করে। এই ভিটামিন-এ নারীদের যোনি এবং ইউটেরাসের
আকার ভালো রাখে। তাছাড়া এটা সেক্স হরমোন তৈরিতেও
সহায়তা করে।
ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেটে আছে ফেনিলেথ্যালামাইন নামক একটি
উপাদান যা শরীরে বাড়তি যৌন উদ্দীপনা তৈরী করে।
গবেষণায় জানা গেছে যে, ডার্ক চকোলেট খেলে
সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণবোধ বেড়ে যায়। এছাড়াও ডার্ক
চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে।
তাই প্রতিদিন শতকরা ৭০ ভাগ কোকোযুক্ত ডার্ক
চকোলেটের ২ ইঞ্চির একটি টুকরো খেয়ে নিন। মাত্র
১০০ ক্যালরী আছে এই আকৃতির একটি টুকরো, আপনার যৌন
স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
কালোজিরা
কালোজিরাকে বলা হয়, মৃত্যু ছাড়া সর্বরোগের মহৌষধ। এটা
যৌনতার ভারসাম্য রাখার পাশাপাশি শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ
বৃদ্ধি ও স্তন্যকে সুগঠিত করে। পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিস ও
কম্পন রোগে কালোজিরার তৈল মালিশ করলে
আশ্চর্যজনক ফল পাওয়া যায়। কালোজিরা যৌন ব্যাধি ও স্নায়ুবিক
দুর্বলতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য উৎকৃষ্ট মানের
ঔষধ। সর্দি, কাশি, বুকের ব্যাথা, পাকস্থলীতে বায়ু সঞ্চয়
(অম্লপিত্ত) শুলবেদনা ও প্রসূতি রোগে অত্যধিক
উপকারী। ব্রনের জন্যও উত্তম ঔষধ। এবং এতে শ্লেষ্মা,
পুরাতন জ্বর, মূত্রথলির পাথর ও পান্ডুরোগ (কামিলা, জন্ডিস)
আরোগ্য লাভ করে। তাছাড়া এটা মুদরে হায়েজ বা অধিক ঋতু
স্রাব, মুদরে বাওল বা মাত্রাতিরিক্ত পেশাব প্রতিরোধক ও
ক্রিমিনাশক।
রাসূল (সঃ) বলেন, “তোমরা এই কালোজিরা ব্যবহার করবে,
কেননা এতে একমাত্র সাম (মৃত্যু) ব্যতীত সর্বরোগের
শেফা (আরোগ্য) রয়েছে।” -বুখারী ও মুসলিম
কফি
কফি আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার যৌন চাহিদা ঠিক রাখে।
বাদাম
চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদিতে শরীরের জন্য
প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে। এগুলো
শরীরে প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল তৈরী করার
পাশাপাশি সেক্স হরমোন গুলোকে সঠিকভাবে পথনির্দেষ
করে। তাই প্রতিদিন অল্প করে হলেও বাদাম খাওয়ার চেষ্টা
করুন। এতে যৌন স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকবে। চীনা বাদামে প্রচুর
জিঙ্ক থাকে। এই জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায় এবং শক্তিশালী
শুক্রাণু তৈরি করে। জিঙ্ক কম থাকলে শরীরে শতকরা ৩০ ভাগ
কম বীর্য তৈরি হয়। যারা খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে কম
জিঙ্ক গ্রহণ করে তাদের বীর্য এবং
টেস্টোস্টেরনের ঘনত্ব দুটিই কমে যায়। বাদাম খাওয়ার
মাধ্যমে এটা পূরণ হয়ে যায়।
অ্যাসপারাগাস
অ্যাসপারাগাস যৌন আকাঙ্খা জাগ্রত করতে সাহায্য করে। যৌন
ইচ্ছা বাড়াতে চাইলে যেসব প্রাকৃতিক খাবার শরীরে
হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে সেগুলি খাওয়া উচিত। যৌনতার
ক্ষেত্রে সবসময় ফিট থাকতে চাইলে অ্যাসপারাগাস খেতে
শুরু করুন।
যাফরান
পাকস্থলী, হৃদপিন্ড, ও যকৃতের কার্যমতা বৃদ্ধি করে। অন্যান্য
ঔষধের সঙ্গে যাফরান মিশ্রণ করলে ঔষধের কার্যমতা বৃদ্ধি
পায়। এটা দারুন রতিবর্ধক। মন-মস্তিস্ক এবং দৃষ্টি শক্তির জন্যও
যাফরানের জুড়ি নাই।
জয়ফল যত্রিক ও দারুচিনি
অত্যাধিক রতিশক্তি বর্ধক। বৃদ্ধদের জন্য বিশেষভাবে
বার্ধক্যে লাঠির কাজ দেয়। মাংস পেশী ও গিরার ব্যাথায় উপকার
সাধন করে।
ট্রাফল
ট্রাফল এক ধরনের ছত্রাক। ট্রাফলে পুরুষের যৌন
হরমোনের মত একধরনের উপাদান থাকে। কিছু কিছু খাবারে
ট্রাফলের এই বিশেষ কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। যার ফলে,
নারীদের পুরুষের প্রতি লিবিডো বা যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়।
যেমন, ম্যাশড পটেটোতে ট্রাফলের ব্যবহার করা হয়।
লম্বা মরিচ
মস্তিস্কের শক্তি বর্ধক, পাকস্থলী ও রতিশক্তি বর্ধক, দৃষ্টি
শক্তি বৃদ্ধি করে ও কফের দোষ দূর করে। পিপুল দুধের
সাথে জোশ দিয়ে পান করা উপকারী। লম্বা মরিচকে ছোট
পিপুলও বলা হয়।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোকে এর আকৃতির কারণে একে নারী ফল
হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি-
সিক্স এবং পটাসিয়াম থাকে। এটি খাওয়ার ফলে যৌন ইচ্ছা এবং যৌন
সামর্থ্য বৃদ্ধি পায়।
কিসমিস
মানব শরীরে যৌন উদ্দীপনা বা যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে
কিসমিসের সাথে অন্য কোন কিছুর তুলনা হয় না। আঙ্গুর
ফলকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় কিসমিসে রুপান্তর করা হয়। কিন্তু
গুনের দিক থেকে আঙ্গুরের চাইতে কিসমিসের অবদান
অনেক বেশি।
ওটমীল
ওটমিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে।
যেসব দানাজাতীয় শস্যে আবরণ থাকে তাদের মধ্যে এই
গুণটি রয়েছে। যেমন গম, চাল, রাই ইত্যাদি।
ফাইটোস্ট্রজেন আপনার যৌন জীবনের জন্য খুবই
কার্যকরী।
যদিও আমাদের নিজের কিছু অনিয়ম ও বদঅভ্যাসের কারণে
প্রকৃতিগতভাবে পাওয়া সেক্স পাওয়ার নষ্ট করে ফেলি
(ব্যতিক্রম: রোগ বা দূর্ঘটনা)। কিন্তু সেটা অসৎ কিছু ডাক্তার,
কবিরাজ, হেকীম, হার্বাল আর মনগড়া গল্পের নিয়ম-কানুনের
ফাঁদে পড়ে বড্ড বেশি সমস্যা ভেবে স্বাভাবিক যৌনতার
ধ্বংস ডেকে আনি। তাই যৌন জীবনকে টেকসই করার
প্রত্যয়ে আজ থেকেই সচেতন হতে হবে।

জিনসেং এর এই ৭টি উপকারিতা সম্পর্কে আপনি হয়তো জানেনই না

জিনসেং মূলত দুই ধরণের। জিনসেং আমেরিকান ও এশিয়ান। এর মধ্যে এশিয়ান জিনসেং অপেক্ষাকৃত বেশি কার্যকরী। এই দুই ধরণের জিনসেং কে বলা হয় প্যানাক্স জিনসেং। জিনসেং সাদা (খোসা ছাড়ানো) ও লাল (খোসা সমেত) এই দুই রকম রূপে পাওয়া যায়। খোসা সমেত অবস্থায় এটি অধিক কার্যকরী। এদের মধ্যে থাকা জিনসেনোনোসাইড নামক একটি উপাদান এর কার্যক্ষমতার জন্য দায়ী। সাইবেরিয়ান জিনসেং নামে আরেক ধরণের গাছ আছে, যা জিনসেং বলে ভূল করা হলেও তা আসলে প্রকৃত জিনসেং না।

বিস্তারিত জানতে কল করুন: 01936568635 


১.দ্রুত বীর্যস্খলন নিরাময়ে

যদিও কাচা জিনসেং এর মূল এই রোগে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানা যায় না তবে জিনসেং এর তৈরী একটি ক্রীম (ss cream) পুরুষদের দ্রুত বীর্যস্খলন রোধে বিশ্বব্যাপী ব্যবহার হয়ে আসছে যা মিলনের একঘন্টা আগে লিঙ্গে লাগিয়ে রেখে মিলনের আগে ধুয়ে ফেলতে হয়।

Journal of Urology তে ২০০০ সনে প্রকাশিত একটি গবেষনা অনুযায়ী এটি বীর্যস্খলনের সময়কাল কার্যকরী ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ভাবে বাড়ায়।
২.কগনেটিভ ফাংশন
কগনেটিভ ফাংশন বলতে বুঝায় বিভিন্ন মানসিক ক্ষমতা যেমন মনযোগ, স্মৃতিশক্তি, কথা শোনার সাথে সাথে বুঝতে পারার ক্ষমতা,কল্পনাশক্তি, শেখার ক্ষমতা, বিচারবুদ্ধি, চিন্তা শক্তি ও সমস্যা সমাধান করে কোন একটা সিদ্ধান্তে পৌছানোর ক্ষমতা। সোজা ভাষায় বলতে গেলে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি। জিনসেং স্নায়ুতন্তের উপর সরাসরি কাজ করে মানসিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৩.কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে
Pharmacological Research এ ২০০৩ সালে প্রকাশিত একটি গবেষনা অনুযায়ী, দিনে ৬ মিগ্রা হারে ৮ সপ্তাহ জিনসেং গ্রহণ খারাপ কোলেস্টেরল যেমন- total cholesterol (TC), triglyceride (TG) ও low density lipoprotein (LDL) এর মাত্রা কমাতে ও ভালো কোলেস্টেরল (High Density Lipoprotein বা HDL) এর মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে।
৪.ফুসফুসের রোগ
Chronic Obstructive Pulmonary Disease(COPD) হচ্ছে ফুসফুসের অন্যতম কমন রোগ। এই রোগীদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বুকে কফ থাকে ও কারো কারো ফুসফুসের ক্ষয় ঘটে। Archive of Chest Disease এ ২০০২ সনে প্রকাশিত ৯২ জন রোগীর উপর করা গবেষনা অনুযায়ী ১০০মিগ্রা ডোজে ৩ মাস জিনসেং গ্রহণে সার্বিক ভাবে COPD এর অবস্থার উন্নতি হয় বলে প্রমাণিত হয়েছে।
৫.বলিরেখা ও ফাটা দাগ দূর করে
জিনসেং বিভিন্ন এন্টি-এজিং ক্রীম ও স্ট্রেচ মার্ক ক্রীম এ ব্যবহৃত হয়। এইসব ক্রীম ত্বকের কোলাজেন এর উপর কাজ করে ত্বকের বলিরেখা প্রতিরোধ করে ও গর্ভবতী নারীদের পেটের ত্বক স্ফীতির কারণে তৈরী ফাটা দাগ নিরসন করে। তবে এটির জন্য জিনসেং এর ভূমিকা কতটুকু ও ক্রীমে থাকা অন্যান্য উপাদানের ভূমিকা কতটুকু তা জানা যায়নি।
৬.ক্যান্সার রোগীদের দুর্বলতা কাটায়
জিনসেং ক্যান্সার নিরাময় করতে না পারলেও আমেরিকার ম্যায়ো ক্লিনিক ক্যান্সার সেন্টারের গবেষকরা বলছেন, ক্যান্সারে ভুগছেন এমন রোগীদের দুর্বলতা কাটাতে জিনসেং সহায়ক। ৩৪০ রোগী নিয়ে গবেষণায় দেখা গেছে, ৮ সপ্তাহ ধরে উচ্চমাত্রার জিনসেং ক্যাপসুল সেবন করেছেন এমন রোগীদের দুর্বলতা অন্যান্য পদ্ধতির চিকিত্‍সা গ্রহণকারীদের তুলনায় অনেক কমেছে।
৭.আরো কিছু রোগ
মেয়েলি হরমোন বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বৃদ্ধি ও শক্তি বর্ধক এনার্জি ড্রিংক হিসেবে জিনসেং দারুন কার্যকরী। জিনসেং রক্ত তরল করে স্ট্রোক প্রতিরোধ করে। আরো কয়েকটি রোগ নিরসনে জিনসেং ভূমিকা রাখে বলে লোকজ ব্যবহার হতে জানা গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই রোগ গুলোর ক্ষেত্রে গবেষনা করে জিনসেং এর কার্যকরীতা অস্বীকারও করেন নি আবার নিশ্চিত ভাবে মেনেও নেননি। এইসব রোগের মধ্যে আছে, সরদি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ক্যান্সার (পাকস্থলি, ফুসফুস, যকৃত, ত্বক, ডিম্বাশয়), রক্তশূণ্যতা, বিষন্নতা, জল আসা, হজমে সমস্যা ইত্যাদি।

বিস্তারিত জানতে কল করুন: 01936568635 

পুরুষের যৌন দূর্বলতার সমাধান

 যৌন দূর্বলতা নারী বা পুরুষ উভয়ের কাছেই একটি অশান্তির নাম। পরিণত বয়সের নারী-পুরুষ অনেকের কাছে যৌন দূর্বলতার সমস্যা অনেক সময় প্রকট হয়ে উঠে, যার কারণে অনেক সময়ই দম্পতি মানসিক অশান্তিতে ভোগেন। অনেক অবিবাহিত এমনকি যৌন ক্রিয়ায় অংশ গ্রহন করেনি এমন অনেকেও কিন্ত এই সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন। আসলে আমাদের সমাজে অধিকাংশ মানুষেরই এ বিষয়ে সংকোচ বেশি থাকার কারণে প্রকৃত তথ্য থেকে অনেকে বঞ্চিত হন, তেমনি অনেক অপসংস্কার বা কুসংস্কার এই দূর্বলতার কারণে সমাজে বাসা বেধে আছে।


যৌন কাজে পুরুষের ভুমিকা প্রধান হলেও যৌন দূর্বলতায় নারী বা পুরুষ উভয়েই আক্রান্ত হতে
পারে তবে যৌন কার্যে নারীর ভূমিকা অনেক খানি পরোক্ষ বিধায় পুরুষকেই এই সমস্যা নিয়ে বেশী উদবিগ্ন হতে দেখা দেয়। নারী পুরুষ মিলিয়ে এ ধরণের রোগির সংখ্যা শতকরা ১০ থেকে ২০ শতাংশ। একটু ভেবে দেখলে বোঝা যাবে এটা মোটেই ফেলে দেবার মতো কোনো সংখ্যা নয়। কিন্তু এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে হলে আমাদের কি করতে হবে আমরা কয়জনে তা জানি ।

আজ আমরা এসব বিষয় নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব এই এপ্সটিতে । আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে ।




# যা যা থাকছে এই এপ্সটিতে :

পুরুষের যৌন দূর্বলতা বা লিঙ্গোত্থানে সমস্যা

পুরুষের যৌন দূর্বলতা:

মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা

পুরুষের যৌন দূর্বলতার স্থায়ী সমাধান

পুরুষের যৌন দূর্বলতা এবং তার চিকিৎসা

ধাতু দূর্বলতা কি? পায়খানা ও প্রসাব করার সময় ধাতু আসলে কি করব?

ধাতু দুর্বলতা রোগের কারণঃ

ধাতু দূর্বলতার সমস্যা ও সমাধান



Reference :
#যৌনতা, গর্ভাবস্থায় স্ত্রী সহবাস,
#ইসলামে নিষিদ্ধ যে ৪ ধরনের সেক্স,
#ইসলামের দৃষ্টিতে যৌনতা,
#হার্ট-অ্যাটাকের পরে যৌনতা,
# যেভাবে করবেন যৌনক্রীড়া,
# দম্পতির যৌনশক্তি বাড়ায় যে খাবার, যে খাবার পুরুষের যৌনশক্তি বাড়ায়,
# যে খাবারগুলি পুরুষত্বের ক্ষতির করে, যৌবনকাল ও যৌনতা,
# যৌনতা সম্পর্কিত ৩৬৪টি প্রশ্নোত্তর, ইসলামের মতে সহবসের সঠিক নিয়ম,
# যৌন আগ্রহ কমে যে কারণে,
#যৌনমিলন দীর্ঘ করার টিপস,
# যৌনতার ক্ষেত্রে ছেলেদের ভুলসমূহ,
# যৌনমিলনে উত্তেজনা বৃদ্ধির কৌশল,
#ইসলামে সহবাসের নিয়ম,
#কখন কিভাবে সহবাস করতে হয়,
#সহবাসে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায়,
# নারীর অভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গ, নারীর বহিঃযৌনাঙ্গ,
#নারীর উত্তেজনা ও তৃপ্তির লক্ষণ,
# নারীর স্বমেহন বা হস্তমৈথুন,
#নর-নারীর যৌনস্পর্শকাতর স্থানসমূহ,
#অকাল বীর্যপাত রোধের উপায়,
# আপনার পুরুষাঙ্গ কি ছোট?,
# পুরুষাঙ্গ বড় করার উপায়,
#যৌনমিলনের গোপন চার সূত্র,
#পুরুষের স্থায়ীত্ব কতক্ষণ হওয়া উচিত ?,
#সমস্যা, সমাধান, পুরুষত্বহীনতা এবং যৌনতা, যৌনতা ,
#সাধারণ কিছু প্রশ্নোত্তর, সকালে যৌনমিলনের সুফল, সমকামিতা এবং যৌনতা,
# স্বপ্নদোষ কি খারাপ?, ভায়াগ্রা ও যৌনতা :
#যৌনতা, নারী ও পুরুষের যৌন মিলন,
#নারী ও পুরুষের গোপন সম্পর্ক,
#নারী ও পুরুষের যৌনতা,
#ভার্জিন/কুমারী নারী চেনার উপায়,
# যৌন অক্ষমতা বাড়ছে যে কারণে,
#যৌনতা বিষয়ক কিছু প্রশ্নোত্তর,
#কখন সেক্স করলে বাচ্চা হবে না,
#নারীদের যৌনইচ্ছার সময়সীমা,
#পুরুষের দুর্বলতা ,
# বীর্যপাত বিলম্বিত করার ১০ টিপস,
#সপ্নদোষ, পুরুষাঙ্গ বড় করার পদ্ধতি,
# পুরষাঙ্গ মোট করার পদ্ধতি,
# পুরষাঙ্গ, সপ্নদোষ বন্ধ,
# সেক্স, পজিশন, সেক্স তথ্য,
#বাংলা সেক্স স্টাইল, বাংলা সেক্স পজিশন,
#বাংলা সেক্স তথ্য,
# সেক্স সমস্যা,
This is not a Bangla choti, Not a choti book, choti bangla apps , adult tips, adult sex tips, sex positions, sex problem, sex problem solution, bd sex, , sexy body, bangla sex style,
# সহবাসের নিয়ম,
# চটি বাংলা, চটি গল্প,
#বাসর রাতের সেক্স,
#বাসর রাতের গোপন মিলন, বাসর রাতের নারী পুরুষের সেক্স,
#সহবাসের দোয়া,
#দোয়া সহবাসের, সহবাসর সঠিক নিয়ম, সহবাসের আগে ও পরে,
#সহবাসের পরে করণীয়,
# ইসলামের দৃষ্টিতে সেক্স পজিশন,
#ইসলামের দৃষ্টিতে যৌন সমস্যা সমাধান,
#কীভাবে চুম্বন করবেন,
# যৌন জীবন,
#যৌন জীবন সুখের করার উপায় ।

যৌন রোগের ইসলামিক উপায়ে চিকিৎসা

 ইদানিং ব্লগে আর ফেসবুকে ইসলাম ধর্মকে হেয় করার প্রতিযোগিতা যেনো শুরু হয়েছে। যা সত্যই দুঃখজনক। ইসলাম এমন একটা সার্বজনীন ধর্ম যারা এর ছায়াতলে এসেছে শুধু মাত্র তারাই নয়, যারা একটু বিবেকবান, জ্ঞান বান, যে ধর্মেরই হোন না কেন তারাও এর প্রতি যুগে যুগে শ্রদ্ধাপ্রদর্শন করেছেন। বিশেষ করে ইসালামের নবী মুহাম্মদ সা: আর পবিত্র কুরআন নিয়ে যারাই গবেষণা করেছে তারাই বিস্ময়ে হতবাক হয়েছে। অথচ আজ সেই ধর্ম, নবী আর পবিত্র গ্রন্থ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা ধরনের বেয়াদবি আচরণ। অপরিপক্ক কথন। বর্তমানে ইসলাম বুঝার জন্য অনেক বই আর পবিত্র কুরআনের অনুবাদ বাজারে আছে। কেউ কেউ এর দু'একটা পড়েই ভাবছেন ইসলাম সম্পর্কে সব জেনে ফেলেছি। ইসলাম কে বুঝে ফেলেছি। কথা হল ইসলাম বুঝা কি এতো সহজ?

ইসলামকে বুঝতে গিয়ে বিশিষ্ট দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক মুরিস আল বুকাইলি বাইবেল কুরআন আর বিজ্ঞান নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছেন। একসময় তিনি পবিত্র কুরআনের বিস্ময়কর দর্শন আর বিজ্ঞানময়তায় আর্বিভুত হয়ে ইসলাম কবুল করেন। তার লেখা বাইবেল কুরআন আর বিজ্ঞান বইটি বাজারেতো বটে ইন্টারনেটেও পিডিএফ হিসেবে রয়েছে। আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন বইটি। সেখানে মরিস বুকাইলি বলেছেন কুরআন নিয়ে গবেষণা করতে যেয়ে তাকে আরবী শিখতে হয়েছে। সাধারণ ইংরেজী অনুবাদের উপর তার আস্থা ছিল না। এর কারণ আরবী ব্যকরণ সঠিকভাবে না জানলে শুধু অনুবাদের উপর ভিত্তি করে গবেষণা করে সঠিক সিদ্ধান্তে আসা যায় না। এ জন্য মূল কে তিনি আকরে ধরে এগিয়েছেন। আর পরিশেষে তিনি দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছেন। এই কিতাবে কোন রকম অসংগতি নেই। যা তিনি পেয়েছেন বাইবেলে ভুড়ি ভুড়ি। এখন কথা হল সাধারণ অনুবাদ পড়ে যারা বলে, কুরআন এমন, রসুল এমন তেমন, তাদের নিজেদের মনগড়া বুজ নিয়ে কুরআন আর নবী তথা ইসলামের সমালোচনা করা যুক্তি যুক্ত কি? নিজে আরবী পড়ে কুরআন বুঝে ব্যাখ্যার পথে হাটলে ভাল। অন্যের অনুবাদ নির্ভর হয়ে কুরআন বুঝতে গেলে তা সবসময় সঠিক নাও হতে পারে। আবার যখন সেই অপরিপক্ক বুঝটার আলোকে লাগাম ছাড়া একটা মন্তব্য করা হয় তখন শুধু একটি ধর্মকেই ছোট করা হয় না। ছোট করা হয় একটি জাতি গোষ্ঠিকে। আর এতে দেখা দেয় নানা হানাহানি নৈরাজ্য।

ইসলাম সম্পর্কে জানা এবং তার যৌক্তিক সামালোচনা করার অধিকার সবার আছে। তবে তা হতে হবে শালীন আর যথেষ্ট গবেষণা ধর্মী। কারণ ইসলাম কোন ঠুনকো বিষয় নয়। হালকা ভাবে মশকরা বা হাসি ঠাট্টা করার আগে এটা ভাবা প্রত্যেক বুঝদারের জন্য জরুরী । তাই নয় কি? আর কুরআন কে বুঝার জন্য সহজ করে দিয়েছেন মহান আল্লাহ। তাই চিন্তাশিল দের গবেষনার জন্য তিনি আহবান করেন ।

পবিত্র কুরআন ও যৌনতা প্রসঙ্গ

কেউ কেউ বলে আল কুরআনে যৌনতা রয়েছে। যা ছোট্ট শিশুদের কাছে বুঝিয়ে বলা যায় না। তারা কোন প্রশ্ন করলে কি উত্তর হবে তা নিয়ে দ্বিধা দেখা দেয়। তাই তারা ছোট্ট শিশুদের কুরআন পড়তে না দেওয়ার কথা বলছে। এমনকি এ বিষয়ে উদাহরণ দেয়া হচ্ছে যেমন হুর কি গিলবান কি? যদি শিশুরা প্রশ্ন করে কি উত্তর হবে। বা মাসিক কি বা ঋতু কি? এসব যদি প্রশ্ন করে কি উত্তর হবে?

এই প্রশ্নগুলো যারা করছে তারা নিজেদের ভাবনাকে শিশু হিসেবে কল্পনা করে প্রশ্ন দাড় করাচ্ছে। তারা কি প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজার চেষ্টা করছেন? নাকি কল্পিত প্রশ্ন তৈরি করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছেন? অথচ তারা বুঝতে পারছেন না যে আদো শিশুরা এইসব প্রশ্ন তাদের মতো এত জটিল ভাবে করে না। বেছে বেছে অন্য প্রসংগ না হুর গিলবান বা ঋতু এসব প্রশ্নই তারা করবে এটা ধরে নেয়া কি ঠিক? আচ্ছা যদি করেও তার উত্তর তাকে ব্যাখ্যা সহকারে না দিলেওতো হয়। তখন হয়তো তারা আবার বলতে পারেন কেন পুরো ব্যাখ্যা দিবেন না; বুঝেছি যৌনতা তাদের জানাতে চান না বলেইতো। তাদের বলছি ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয় যে শিশুদের যৌনতা জানানো যায় না বলে তাদের পুরো ব্যাখ্যা দেযা হচ্ছে না। বিষয় হল তারা যৌনাতার ব্যাখ্যা দিলে বুঝবে না এই বয়েসে। বুঝা নিযে সমস্যা । যৌনতা জানানো নিয়ে নয়।

যেমন ধরা যাক একটি নতুন শিশু জম্ম নিল। কেউ কেউ বলল আমরা যা যা খাই তা তাকে খেতে দেয়া হোক। আদো কি কেউ তার নবজাতক কে সে খাবার দেবে। দেবে না । কারণ সে মানব সন্তান হলেও একজন মানবের মত সবধরনের খাবার খেতে পারবে না একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত। তাকে ততটুকু দেযা হয় যতটুকু সে হজম করতে পারে। বিষয়টা আসলে এ জায়গায়। যৌনতা কি যে বোঝে না তাকে ব্যাখা করে যৌনাত বুঝানো দরকার নাই । শিশু যদি বলে হুর কি বা যদি বলে ঋুত কি? তখন যদি বলা হয় ভাল করে পড়াশুনা করে বড় হও। এটা তুমি বড় হরে জানতে পারবে। এভাবে বললে সমস্যা কোথায়? তাকে যদি হুর বা ঋতু কি ব্যাখ্যা করে বুঝানো হয় সে কি বুঝবে বলে মনে হয়? আসলে কুরআন সম্পর্কে যাদের এলার্জি আছে তারা সবসময় নিজেদের ভাবনায় ডুবে এই সব ভাবে। নিজেদের ভাবনা শিশুদের বলে চালিয়ে দেয়। কারণ অপবিত্র জন হুরের ব্যাখ্যা করেছে বেহেশতি পতিতা হিসেবে (নাউজুবিল্লাহ)। অথচ এরা হল একদম পবিত্র। এমন পবিত্র হাদিসে এসছে বেহেশতের কোন হুর যদি দুনিয়োতে উকি দেয় দুনিয়া পবিত্রতায় আলোকিত হয়ে যাবে। আর হুর কিন্তু শুধু স্ত্রী লিংগ নয়। এটা হল বিপরীত লিংগ। নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে। এ বিষয়ে বিষদ ব্যাখ্যাও আছে। শিশুদের তা জানার আপাতত দরকার আছে কি? আসলে যারা নোংরা ভাবনা পোষণ করে তারা মানসিক ভাবে দুর্বল। তাই সব সময় বিপদে পড়ার শংকায় থাকে। হুর সম্পর্কে তাদের ধারনা অপবিত্র আর নোংরা কাজেই তারা শিশুদের কাছে এ প্রশ্ন শুনলে কি বলবে ভেবে আতংকিত থাকে। কিন্তু মোমনিরা সফলকাম। তারা শিশুদেরও বলতে পারে হুর হল পবিত্র। বন্ধুর মত। দুনিয়াতে তোমার বন্ধু আছে না। আল্লাহও বেহেশতে বন্ধু দেবে। এভাবে বললে সমস্যা কোথায়?

পুর্বেও কুরআনকে নানা ভাবে আক্রমন করা হয়েছে। বর্তামানে যৌন বিষয়গুলো নিয়ে ইসলাম, নবী আর কোরআনকে আক্রমন করা হচ্ছে বেশি। কুরআন এই চ্যালেঞ্জ সাদরে গ্রহণ করছে। কুরআনে যৌন বিষয়গুলো এসেছে প্রয়োজনের তাগিদে। মনোরঞ্জনের জন্য নয়। তাই কুরআন স্পষ্ট ভাষায় সত্য কথাগুলো বুঝদারদের জন্য বলছে যারা বিশ্বাসী। কুরাআনে উল্লেখিত যৌন বিষয়ের গুরুত্ব যারা বুঝদার তারাই বুঝতে পারবে। কারণ কুরআন সুরা বাকারার শুরুতে চ্যালেঞ্জ করে বলেছে এতে কোন অসংগতি নাই। আর এটা মুমিনরাই বুঝতে পারবে অর্থাৎ এটা তাদের জন্যই পথ নির্দেশনা। কাজেই যারা পবিত্র কুরআনের যৌনতা সংক্রান্ত পথ নির্দেশ বুঝতে পারছে না তাদের না পারাটাই স্বাভাবিক। কারণ তাদের কাছেতো কোড নাই। যে কোড দিয়ে কুরআনা বুঝা যাবে। আর এ কোড হল বিশ্বাস।
আল্লাহ সুবহানাহু বলেন,
﴿يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدىً وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ (57) قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ﴾
''হে মানুষ! তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে এসেছে উপদেশ এবং অন্তরসমূহে যা থাকে তার শিফা, আর মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমাত। বল, 'আল্লাহর অনুগ্রহে ও রহমাতে'। সুতরাং এ নিয়েই যেন তারা খুশী হয়। এটি যা তারা জমা করে তার চেয়ে উত্তম।''
তিনি আরো বলেন,
﴿وَمَا أَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ إِلَّا لِتُبَيِّنَ لَهُمُ الَّذِي اخْتَلَفُوا فِيهِ وَهُدىً وَرَحْمَةً لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ﴾
''আর আমি তোমার উপর কিতাব নাযিল করেছি, শুধু এজন্য যে, যে বিষয়ে তারা বিতর্ক করছে, তাদের জন্য তা তুমি স্পষ্ট করে দেবে এবং এটি হিদায়াত ও রহমাত সে কওমের জন্য যারা ঈমান আনে।''

মহান আল্লাহ আলেমকে যেমন মদদ করেন তেমন করেন শয়তানকেও। আলেমকে করেন সত্যের দিকে আরো অগ্রসর করার জন্য। আর শয়তানকে করেন তার কুচক্রি জাল আরো বিস্তার করে ধংসের দিকে নেবার জন্য। ফলে শয়তান যে যুক্তিই দাড় করায় তার কাছে তাই সত্য মনে হয়। আর সে আর তার অনুসারীরা এর প্যাঁচে এমনভাবে আটকে যায় যে আর বেরুতে পারে না।

বাচ্চাদের যৌন জ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রে কুরআন যে নীতি অবলম্বন করেছে তা সত্যই বিস্ময়কর। একদম ছোট বাচ্চা যে সে যৌনাতার বিষয়টি মাথায় আনবে না। কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে এটা আসাটা স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে তাদের এ বাড়ন্ত সময়ে নানা সমস্যা দেখা দেয়। কুরআনা তা অনুধাবন করেই তাদের জন্য সুরা নুরে বলেছে………

30 ) Tell the believing men to lower their gaze (from looking at forbidden things), and protect their private parts (from illegal sexual acts, etc.). That is purer for them. Verily, Allâh is All-Aware of what they do. (মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।)

31 ) And tell the believing women to lower their gaze (from looking at forbidden things), and protect their private parts (from illegal sexual acts, etc.) and not to show off their adornment except only that which is apparent (like palms of hands or one eye or both eyes for necessity to see the way, or outer dress like veil, gloves, head-cover, apron, etc.), and to draw their veils all over Juyubihinna (i.e. their bodies, faces, necks and bosoms, etc.) and not to reveal their adornment except to their husbands, their fathers, their husband's fathers, their sons, their husband's sons, their brothers or their brother's sons, or their sister's sons, or their (Muslim) women (i.e. their sisters in Islâm), or the (female) slaves whom their right hands possess, or old male servants who lack vigour, or small children who have no sense of the shame of sex. And let them not stamp their feet so as to reveal what they hide of their adornment. And all of you beg Allâh to forgive you all, O believers
(ইমানদার নারীদেরকে বলুন তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথায় ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, স্ত্রীলোক অধিখারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও বালক, যারা নারীদের গোপন অংগ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদরে ব্যাতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোড়ে পদচারনা না করে। মুমিনগন তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।)

এ দুটি আয়াতের ব্যাখ্যা যদি আমাদের কিশোর কিশোরীদের ভালভাবে বুঝানো যায়। তাহলে তাদের মাঝে যৌন সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। বয়স্বন্ধিকালের ছেলে-মেয়েরা যদি কুরআন এর সচেতনতা মুলক উপদেশ বানীকে ভালোভাবে বুঝে আমল করে তবে তারা কোনো সমস্যার সম্মুক্ষীণ হবে ন। সুরা নূরের এ দুটি আয়াতে যে ভাবে মোমিন নারী আর পুরুষকে স্পষ্টভাবে তাদের শারিরীক গঠন প্রনালীর প্রতি নজর রেখে যে বিজ্ঞান সম্মত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা সত্যই শুধু কিশোর কিশোরীই নয় প্রতিটি মানুষের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এতো শালীন ভাবে এত সুন্দর উপদেশ বানী একমাত্র স্রষ্টার পক্ষেই দেয়া সম্ভব। ১৪০০ বছর আগের পবিত্র কুরআনে এতো সুন্দর বৈজ্ঞানিক ত্তত্ব সত্যই বিষ্ময়কর।

এ আয়াতের কোথাও কি যৌন সুরসুরি দেওয়া কথা আছে? যতটুকু না বললেই নয় ঠিক ততটুকুই বলা হয়েছে। অথচ শয়তানি চক্র এ পবিত্রতার মাঝেও শয়তানি তালাস করছে। আসলে সমস্যতো চোখে। দৃষ্টি ভংগিতে। সারক্ষণন শয়তানি যার কাজ সে তা ছাড়া আর বুঝেই কি? বেগানা নারী পুরুষ অবাধ মেলা মেশা তাদের কাছে মনে হয় কিছুই না। স্বাভাবিক বিষয় মনে হয়।

একটা কৌতুক শুনেছিলাম অনেক আগে। এক লোক শরীরের যে অংশেই হাত দিয়ে টিপ দেয় তখনই ব্যাথা পায়। সে ডাক্তারের কাছে গেল। ডাক্তার তাকে ভাল করে দেখে বলল, আপনার কোথায় ব্যাথা লাগছে একটু দেখান।
কি বলব স্যার! সারা শরীরে ব্যাথা। এই যে মুখে টিপ দিলাম ওমা কি ব্যাথা। এই যে পেটে টিপ দিলাম ব্যাথা।
আচ্ছা এবার আমি একটু টিপে দেখি। এই বলে ডাক্তার রোগীর গালে টিপ দিল। কি ব্যাথা লাগে?
না।
এবার পেটে টিপ দিল? কি ব্যাথা লাগে?
না।
আপনার রোগ আমি ধরে ফেলেছি। দেখিতো আপনার হাতটা। এই বলে ডাক্তার রোগীর হাত ধরে একটি টিপ দিলেন।
রোগী সাথে সাথে চিৎকার করে কেকিয়ে উঠল। ও মাগো। মরে গেলাম গো।

মিষ্টি হেসে ডাক্তার বললেন জনাব আপনার সমস্যা হলো হাতে সারা শরীরে না । ব্যাথা যুক্ত হাত নিয়ে যেখানেই টিপ দিচ্ছেন আর ব্যাথা পাচ্ছেন।

শয়তানী চেলাদেরও এই অবস্থা। অবাধ যৌনাচার আর মেলামেশা করে তারা নিজেদের লাইফ স্টাইলকে এমন অপবিত্র বানিয়ে ফেলেছে যে, এখন পবিত্র কিছু আর দেখতে পায়না । সবা জায়গাতে অপপবিত্রতা খুঁজে পায়। নিজেদের মনের মাধুরী মিশিয়ে কুরআনের পবিত্র আয়াতগুলোর অপব্যাখ্যা করে যায়। অথচ তারা না জানে আরবী ব্যাকরণ না জানে কুরআন পড়তে। তারা শুধু অন্যের করা অনুবাদ আর অনুমানের উপর ভিত্তি করে কথা বলে।